121]
★_পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে ভয়ংকর ও অভিশপ্ত ফিল্ম। যে মুভিটি ৬০জন মানুষের মৃত্যুর কারন হয়েছিলো_★
◼️ মুভিটির সাথে জড়িত কিছু প্যারানরমাল ঘটনার ইতিহাস ও মুভির ভিতরের কিছু গোপন রহস্যময় ফ্যাক্টস্ সংক্ষেপে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করবোঃ-
🎬Antrum :
The Deadliest Film Ever Made [1979] / [2018]
★#প্যারানরমাল_ঘটনার_ইতিহাসঃ-
[১] এই কানাডিয়ান মুভিটি অরিজিনালি ১৯৭৯ সালে নির্মিত হয়। কিন্তু এটি প্রথম থিয়েটারে স্ক্রীনিং করা হয় ১৯৮৮-তে। এর আগে বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রদর্শনের জন্য পাঠানো হয় কিন্তু প্রতিবারই ফেস্টিভাল কর্তৃ-পক্ষ ফিল্মটি প্রদর্শন করতে নাকচ করে দেন আর রহস্য-জনক ভাবে সেই সব ফেস্টিভালের পরিচালনা কমিটির কারো না কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে।
[২] প্রথমবার হাঙ্গেরির বুডাপেস্ট শহরে মুভিটি থিয়েটারে রিলিজ পায় ১৯৮৮ সালে। প্রথম শো-তেই মুভির রিল পুড়ে গিয়ে সিনেমাহলে আগুন লাগে আর সম্পূর্ণ সিনেমাহল ভূপতিত হয় আর সেখানে মারা যায় ৫৬জন।
[৩] ১৯৯৩ সালে আবার এটি প্রদর্শন করা হয় আর সেখানে একজন গর্ববতী মহিলার মৃত্যু হয়। আর যারা মুভিটি দেখেছেন তারাও বাজে খুব বাজে স্বপ্ন ও বাসায় কারো অস্তিত্ব টের পেতো।
_মুভিটির প্রদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয় আর ফিল্মটির সব রিল পুড়ে ফেলা হয়। তারপর ২০১৩তে মুভিটির একটি কপি খুজে পাওয়া যায় যা ২০১৮-তে রিমাস্টার্ড করে আবারো ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রদর্শন করা হয়।
বলা হয়ে থাকে যারাই এই ফিল্ম দেখেছেন,সবার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। যার কারনে মুভিটি The Deadliest film ever Made নামে পরিচিতি পায় আর সাথে সবচেয়ে অভিশপ্ত ফিল্ম হিসেবে খ্যাত হয়।
[এখন আসি মুভির বিভিন্ন ফ্যাক্ট- এ.......👇.]
#মুভি_ফ্যাক্টস্ঃ-
★বলা হয়ে থাকে মুভির অরিজিনাল কপি-তে সাউন্ড ডিজাইনে ব্যবহার করা হয়েছিলো একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সীর শব্দ। যা দর্শকদের সাব-কন্সিয়াস মাইন্ড এ আঘাত করে এবং পরবর্তীতে তারা হিউমান পাপেট এ পরিনত হয় আর এক সময় সুইসাইড / অব্যাক্ষায়িত পদ্ধতিতে মারা যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
বলে রাখা ভালো, সাউন্ড ফ্রিকোয়েন্সীর ভিন্নতা ও সুরে একজন মানুষকে হিপনোটাইস করা, পাগল করে দেয়া এমনকি হার্ট এট্যাক করিয়ে মেরে ফেলাও যায়।(বিজ্ঞান সম্মত এটা)। চীনে এমন অনেক মিউজিক নির্মিত করা হয়েছিলো ৮০'র দশকে। তাদের নির্মিত একটি টিভি কমার্সিয়ালের শব্দও অনেক মানুষের মৃত্যুর কারন হয়েছিলো তখন।
(সেই ভিডিওর রিমাস্টার্ড ভার্শন গুগলে পাবেন৷)
★মুভিতে নেনো সেকেন্ডের কিছু ছবি (গোর ফটো) দেখানো হয় যা মানুসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে + স্ক্রীনে একটু পরপরই সাটানিজম, ইলুমিনাতি, ফ্রিমেসনের বিভিন্ন চিহ্ন শো করে + বাফোমিটের লৌহ মূর্তি দেখানো হয় যা সাটানিজমে বিশ্বাসীরা পূজা করে। আবার মুভির শুরুতে ক্রীপিওয়ে-তে শয়তানের জান্নাত থেকে বিতারিত হয়ে পৃথিবীতে পতিত হওয়া দেখানো হয়।
#ঘটনার_পিছনের_সত্যঃ-
◼️ফেস্টিভালের পরিচালকগন মারা যাওয়া মুভির হাইপ বাড়ানোর জন্য মুভির সাথে লাগিয়ে দেয়া হয়েছিলো।
◼️1988, হাঙ্গেরির থিয়েটারে আগুন দর্শকরাই লাগিয়ে ছিলো বলে তদন্তে জানা যায়।
◼️1993, মহিলা মৃত্যুর ঘটনায়ঃ- সিনেমাহলের এক কর্মী সবার পপকর্নে LSD ড্রাগ মিশিয়ে দিয়েছিলো। যাতে সবার নিজেদের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। আর তাতে অনেকে আহত আর গর্ববতী নারীটি মারা যান।
[ তারপর এগুলো নিয়ে অনেক নিউজ ছাপা হয় পত্র-পত্রিকায় আর ব্যান করে দেয়া হয়। ]
কেন করেছে তারা এমন? আমি মনে করি মুভির প্রচারের জন্য তাদের নিজেদের লোক দিয়েই করানো কাজ এগুলোঃ-
◼️কারন যতটা জানিঃ-
৭০-৮০'এর দশকে এই সিক্রেট সুসাইটি-গুলো আবার নতুন করে মাথা নাড়া দিয়ে উঠে । তারা মূলত এই মুভির মাধ্যমে নিজেদের সাইন, সিম্বল ও বাফুমিট মূর্তি প্রদর্শন করতে চেয়েছে। আবার ১৯৮৮সালেই কিন্তু হলিউডে এই ইলুমিনাতি সম্পর্কে মানুষকে সাবধান করতে বানানো হয়েছিলো ফিল্ম "They Live". যেখানে রেপ্টেলিয়ানস্ ও ইলুমিনাতির অস্তিত্ব ও প্লান নিয়ে জানানো হয়।
[এখন আসি মুভির গল্প ও তার বিশ্লেষণে]
#মুভির_গল্পঃ- [May contain Spoiler]
~নাথান ও অরলী (দুই ভাই-বোন) তাদের কুকুরের মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে তাদের মায়ের কাছে জানতে চায় যে তাদের কুকুর (মেক্সিন) কি জান্নাতে যাবে? মা বলেন, যেহেতু মেক্সিন খারাপ কুকুর ছিলো তাই সে জাহান্নামে যাবে। তারপর থেকে রাতে নাথান দুঃস্বপ্ন দেখে যেখানে সে শয়তানকে দেখতে পায়।
◼️নাথান ও অরলী একটি বইয়ের সন্ধান পায় যেখানে শয়তান ও " Nine Circle of the Hell" সম্পর্কে জানতে পারে। তারা আরো জানে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে বিতারিত হওয়ার পর শয়তান কোন পাহাড়ে ভূ-পতিত হয়েছিলো। আরো জানতে পারে যে সেই পাহাড়ে গর্ত করে তারা জাহান্নামের দরজায় পৌছাতে পারবে। তারা সেই পাহাড়ে রওনা করে তাদের প্রিয় কুকুর মেক্সিনকে উদ্ধার করতে জাহান্নামে থেকে।
তারা সেখানে পেন্টাগ্রাম বানিয়ে রিচুয়্যালের মাধ্যমে পাহারের মাটি খুড়তে থাকে আর এক এক করে জাহান্নামে পৌছানোর প্রতিটি স্তর ক্রস করতে থাকে। যত মাটি খুড়া হচ্ছে জঙ্গলের পরিবেশ তত ক্রিপি হতে শুরু করে।......... বাকিটা মুভিতে।
#ব্যক্তিগত_মতামতঃ-
~প্রথমত সবচেয়ে ভংয়কর ফিল্ম নয় এটি। অভিশপ্ত ফিল্ম বলে খ্যাত হওয়ার অথবা এটার সাথে জড়িত মানুষগুলোর মৃত্যু কাকতালীয় হতে পারে। (It's not proven). আর যদি বলি দেখা উচিত কিনা? আপনার ইচ্ছে। তেমন কিছুই নেই। তবে একটা জিনিশ নিশ্চিত করে দেই 👉অরিজিনাল ফ্রিকোয়েন্সীর যে শব্দে মানুষের মস্তিষ্কে সমস্যার সৃষ্টি হত সেটা রিমাস্টার্ড করে দেয়া হয়েছে। এটায় আর সমস্যা হবে না দেখার ক্ষেত্রে।
_কিন্তু যদি দেখেন, তাহলে অযথাই বাফোমিট ও বিভিন্ন ক্রীপি জিনিশ দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে শেষ করবেন মুভিটি। আর সাথে আপনার সাব-কন্সিয়াস মাইন্ডে কিছু ছবি আর চিহ্ন বসে যাবে।
তাই সিদ্ধান্ত আপনার। ধন্যবাদ। ❤️
~[ সাইফ ]~
[ মুভিটিকে "খুব ভালো হরর মুভি" বলে অনেক পোষ্ট দেখেছি অনেকের। তাই, মুভিটির সত্যতা (গুগল থেকে নেয়া) যাচাই করে আপনাদের সাথে শেয়ার করার লক্ষ্যে পোষ্ট করা। ]
________________________________________________
🎬 ANTRUM [ 2018] / [1979]
________________________________________________
Genre : Paranormal Horror
Country : Canada
Language : English
Runtime : 1h 34m
________________________________________________
◼️IMDB : 4.9/10 ◼️ R.T. : 75% ◼️ Google : 65%
________________________________________________
0 Comments
If you have any doubts, Please let me know
Emoji